রেলে নিয়োগ দুর্নীতির ২ মামলায় মৃধাসহ আসামিদের রায় বৃহ্স্পতিবার

সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধাসহ আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের দায়ের করা দুই মামলা রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2017, 12:49 PM
Updated : 26 April 2017, 01:26 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিনের আদালতে এ দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানান বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সহকারী কেমিস্ট ও ফুয়েল চেকার পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে করা মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ।

“চলতি এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মামলা দুটির রায় ঘোষণার জন্য ২৬ এপ্রিল সময় নির্ধারণ করেন আদালত।”

দুই মামলার আসামিরাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে জানান পিপি মেজবাহ উদ্দিন।

এ দুই মামলার প্রত্যেকটিতে মোট ১৮ জন করে সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

জিএম ইউসুফ আলী মৃধা

সহকারী কেমিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলায় রেলের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচজন আসামি।

এরা হলেন- পূর্ব রেলের তৎকালীন সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার গোলাম কিবরিয়া, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পূর্ব রেলের সাবেক জিএম ইউসুফ আলী মৃধা, সহকারী কেমিস্ট পদপ্রার্থী সুলতানা বেগম ও গণেশ চন্দ্র শীল। 

ফুয়েল চেকার পদের মামলায়ও সাবেক তিন রেল কর্মকর্তাসহ পাঁচসহ আসামি। এ মামলায় বাকি দুই আসামির মধ্যে ফুয়েল চেকার পদের নিয়োগ পদপ্রার্থী আবুল কাশেম ও আনিসুর রহমান রয়েছেন।

২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারকে বহনকারী গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনার পর ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন রেলমন্ত্রীর সহকারী ওমর ফারুক তালুকদারও।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা ছিল, যা আদায় করা হয়েছে রেলে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে।

এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা করে দুদক।

এরমধ্যে ২০১৩ সালের ১৩ অগাস্ট ফুয়েল চেকার পদের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সেসময়ের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট সহকারী কেমিস্ট পদের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত।

২০১৪ সালের ৩ মার্চ আদালতে আত্মসমর্পন করলে ইউসুফ আলী মৃধাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ গত বছরের ৩ অগাস্ট অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলায় ঢাকার আদালতে তিন বছরের সাজা হয় মৃধার।