মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই বলীখেলার ১০৮তম আসর বসে লালদীঘি মাঠে। বলীদের লড়াই দেখতে হাজারো দর্শক জড়ো হয় মাঠে। খেলায় অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী ৭০ জন বলী।
ফাইনালে মুখোমুখি হন গতবারের চ্যাম্পিয়ন শামসু বলী এবং দিদার বলী।
গত বছর ৩৩ মিনিট খেলার পর কোনো ফল না হওয়ায় ‘কৌশলগত’ দিক বিবেচনায় শামসুকে জয়ী ঘোষণা করায় রানার আপ হয়ে মাঠ ছাড়েন দিদার।
দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে লড়াইয়ের মঞ্চে পড়ে যান দুইবার। এক পর্যায়ে রিং ধরে শেষ রক্ষা করার চেষ্টা করেন শামসু। তারপর দিদার তার চিরপরিচিত ভঙ্গিমায় শামসুকে পেছন থেকে ধরে আছড়ে ফেলেন। শামসুর পিঠ মাটিতে ঠেকে গেলে রেফারি দিদারের হাত তুলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
প্রতিবারের মতো এবছরও খেলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক।
মধ্যে ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বহিষ্কার ছিলেন দিদার। ২০১৩ সালে পুনরায় অংশ নিয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা চ্যাম্পিয়ন হন দিদার।
এবার দিদার, শামসু ছাড়াও মিরসরাইয়ের লিয়াকত আলী ও কুমিল্লার রাশেদ সেমিফাইনালে অংশ নেন।
প্রথম রাউন্ডে জয়ী প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে ও চ্যাম্পিয়নকে ২০ হাজার ও রানার-আপকে ১৫ হাজার টাকা নগদ ও ট্রফি দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এর আগে বলী খেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মাসুদ-উল-হাসান।
বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১২ বৈশাখে লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই খেলা, তার সঙ্গে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বসে বৈশাখি মেলা।
বলীখেলার ১০৮তম আসরকে সামনে রেখে এর মধ্যেই পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা।