বাঁশখালীতে ভোট কেন্দ্রে গোলাগুলি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 11:01 AM
Updated : 25 April 2017, 12:52 PM

ভোটগ্রহণের মাঝপথে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছে।

কাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইবনে আমিন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।

দুই পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ইবনে আমিনের সমর্থক এরশাদ ও খোরশেদ এবং জয়নাল আবেদীন চৌধুরীর সমর্থক ওয়াসিম ও মুন্নু।

তবে পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের দাবি সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন।

কাথারিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকা মো. রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল।

“দুই পক্ষের বিবাদে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। পরে পুলিশ তাদের উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেয়।”

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম এমরান ভুঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাথারিয়ার একটি কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবস্থা খুবই খারাপ। ওয়াসিম ও মুন্নু নামে আমার দুজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এই দুইজনসহ আমাদের মোট ৫ জন আহত হয়েছে।।”

ইবনে আমিনের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, সংঘর্ষে এরশাদ ও খোরশেদ নামে তাদের দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আহত সবাইকে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গোলমাল হলেও ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়নি বলে জানান রেজাউল।

তবে প্রার্থী জয়নাল বলেন, “ঘটনার পর ভোট গ্রহণ বেলা ২টা বাজেও শুরু হয়নি।”

এরপর ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আরও দুটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জয়নাল।

এদিকে চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-ধাওয়িতে ভোটগ্রহণ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। 

বেলা ২টার দিকে ধাওয়া-ধাওয়ি শুরু হলে কেন্দ্রটি ভোটারশূন্য হয়ে পড়ে।

সেখানে উপস্থিত সংবাদকর্মী মৃন্ময় বিশ্বাস ও আলমগীর সবুজ বলেন, ধাওয়ার পর কেন্দ্রে কোনো ভোটার ছিল না। শুধু পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটু সমস্যা হয়েছিল। পরে র‌্যাব-পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন ভোটগ্রহণ আবারা শুরু হয়েছে।”  

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে গত বছরের ৪ জুন বাঁশখালীর এ ১৪ ইউপিতে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধর করলে ভোট স্থগিত করা হয়।

নির্বাচন কমিশন স্থগিত হওয়া ১৪ ইউনিয়ন পরিষদে ২৫ এপ্রিল ভোট গ্রহণের জন্য ১৮ এপ্রিল নির্দেশনা দেয়।

সে অনুসারে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া, সরল, বাহারছড়া, কাথারিয়া, বৈলছড়ি, ছনুয়া, চাম্বল, খানখানাবাদ, সাধনপুর, পুইছড়ি, শেখেরখীল, গণ্ডামারা, কালীপুর ও শীলকূপে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে।