সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আফসারী খানম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
এ পদে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ এ নিয়ে পঞ্চমবার বাড়ানো হল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত আবদুচ ছালামের চুক্তির মেয়াদ পূর্বের ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল ২০১৭ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হল।”
এ প্রসঙ্গে আবদুচ ছালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিডিএর চেয়ারমান হিসেবে দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চট্টগ্রামবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
চট্টগ্রামে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে তা আগামী সময়ে শেষ করার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, “এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম পাল্টে যাবে।”
২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথমবারের মতো সিডিএর চেয়ারম্যান পদে আসেন ছালাম। তিনিই চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়া প্রথম রাজনৈতিক ব্যক্তি। ব্যবসায়ী ছালাম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে আছেন তিনি।
আবদুচ ছালামের মেয়াদেই সিডিএর তত্ত্বাবধানে নগরীতে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। ফ্লাইওভারটি নির্মাণের সময় ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হলে সমালোচনার মুখে পড়েন সিডিএ চেয়ারম্যান।
তার আমলেই শুরু হওয়া মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
গত ৩ এপ্রিল সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুচ ছালামের পুনর্নিয়োগ ও পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষাপটে ছালামের নিয়োগ, পুনর্নিয়োগ ও সর্বশেষ দেওয়া নিয়োগের ভিত্তিতে পদে থাকা ও কার্যক্রম পরিচালনা কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না- তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
১৯৬৯ সালের সিডিএ অধ্যাদেশ অনুসারে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনের পর একবার পুনর্নিয়োগের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আবদুচ ছালামকে চারবার পুনর্নিয়োগ দেওয়ায় এক ব্যক্তি ওই রিট আবেদন করেছিলেন। এবার পঞ্চমবারের মতো পুনর্নিয়োগ পেলেন আবদুচ সালাম।