চট্টগ্রামে ডিবির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদা দাবির অভিযোগ দিয়েছেন এক ব্যক্তি, যিনি পাঁচ মাস আগে দুই হাজার ‘জাল’ স্ট্যাম্পসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2017, 10:04 AM
Updated : 24 April 2017, 10:04 AM

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, জাল স্ট্যাম্পের মামলা থেকে বাঁচতেই ওই ব্যক্তি ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ অভিযোগ করেছেন।    

সোমবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন মো. মঈন উদ্দিন।

আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে এএসপি পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তাকে দিয়ে ঘটনা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগকারীর আইনজীবী আমিন আহমেদ জানিয়েছেন।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা হলেন- নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী, এসআই সেকান্দর আলী, এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন, এএসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এএসআই মো. আবদুল ওয়াদুদ, কনস্টেবল মো. আরমান হোসেন, মো. খোরশেদ আলম ও উকিল আহম্মেদ।

অভিযোগকারী মঈন উদ্দিন চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় আইনজীবী এনেক্স ভবন-১ এর বেইজমেন্টে ৬১ নম্বর দোকানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। 

ওই দোকান থেকেই গত বছরের ২১ ডিসেম্বর দুই হাজার ‘জাল’ স্ট্যাম্পসহ মঈন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ।

আইনজীবী আমিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দোকান থেকে মঈন উদ্দিনকে তুলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

“সেখানে পুলিশ সদস্যরা তার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না পারায় জাল স্ট্যাম্প রাখার মিথ্যা অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোতোয়ালি থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।”

ওই মামলায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ হাই কোর্ট থেকে মঈন উদ্দিন জামিন পান বলে জানান আইনজীবী আমিন আহমেদ।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কেশব চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

“মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগ ছিল। তাকে আটকের সময় বিপুল পরিমাণ জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষ-নিরীক্ষায়ও স্ট্যাম্পগুলো জাল বলেই প্রমাণিত হয়েছে।”

জাল স্ট্যাম্প রাখার মামলা থেকে মঈন উদ্দিন নানাভাবে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছিল জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “কোনো উপায় না পেয়ে ঘটনার ছয় মাস পর আদালতে অভিযোগ করেছে।”