সাময়িক সমাধানে জলাবদ্ধতা দূর হবে না: মেয়র নাছির

বন্দর নগরীতে জলাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে থাকা চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2017, 01:02 PM
Updated : 23 April 2017, 01:11 PM

“চট্টগ্রামবাসীর অন্যতম সমস্যা জলাবদ্ধতা। টেমপোরারি সলিউশন দিয়ে এ দুর্ভোগ কমানো যাবে না। স্থায়ী সমাধান ছাড়া বিকল্প নেই।”

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১০ মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে জরিপ চালায়।

রোববার সিটি করপোরেশন সম্মেলন কক্ষে ওই প্রকল্পের ‘সম্ভাব্যতা যাচাই’ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় ওই কথা বলেন মেয়র নাছির। 

এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টিতে বন্দর নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা তলিয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছিল।

জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই বছর আগে মেয়রের দায়িত্ব নেওয়া নাছির বলেন, “জলাবদ্ধতা শুধু আমার আমলে হয়নি। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন আরও ভয়াবহভাবে ছিল।”

নদী ও শহরের উচ্চতা সমান হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জোয়ারের পানি শহরে প্রবেশ ও নালা, নর্দমা ও খালে আবর্জনা ফেলায় ভরাট হয়ে যাওয়াকে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে দেখান তিনি।

নাছির বলেন, “আগে চট্টগ্রাম শহরের অনেকগুলো খাল দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।”

নিজে দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরীর কোনো খাল দখল হয়নি দাবি করে তিনি খাল উদ্ধারে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কথা জানান।

নাছির বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি’ অনুমোদন হওয়ার পর কাজ শুরু করতে অন্তত এক বছর এবং কাজ শুরু করে শেষ করতে তিন বছর সময় লাগবে।

জি টু জি’র আওতায় চার বছর মেয়াদী প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে চীন অর্থায়ন করবে বলে জানান তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান ‘পাওয়ার চায়না লিমিটেডের’ পক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাং কুং।

এসময় সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ওয়াসা, সিডিএসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।