কওমি সনদের স্বীকৃতির বিরোধিতা করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ধর্মভিত্তিক সংগঠনটি।
মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান আহলে সুন্নাত নেতারা।
কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিকে হতাশ করেছেন মন্তব্য করে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা এম এ মতিন বলেন, “একবারে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাস্টার্সের সমমানের সনদ দেওয়া হবে এমন নজির কোথাও নেই। অথচ অন্যান্য মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষায় বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করেই মাস্টার্সের সনদ পেতে হয়।
“কওমি মাদ্রাসার আয়ের উৎস কোথায় তা খতিয়ে দেখা হোক। তাহলে জঙ্গিবাদের অর্থায়ন বন্ধ হবে। এরাই কয়েক বছর আগে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিল।”
‘জঙ্গিবাদের প্রজনন কেন্দ্র বিতর্কিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সরকারি স্বীকৃতি ঘোষণা বাতিলের দাবিতে’ লেখা ব্যানার নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করে আহলে সুন্নাত। এই দাবিতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
কওমি মাদ্রাসায় যারা দাওরায়ে হাদিসের সনদ দেবেন, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আহলে সুন্নাতের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, “সাধারণ শিক্ষা ও অন্য মাদ্রাসায় বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে তবেই মাস্টার্সের সনদ পেতে হয়। অথচ কওমি মাদ্রাসায় যারা সনদ দেবেন, তাদেরই কোনো সনদ নেই।”
এক দেশে দুই ধরনের মাদ্রাসা শিক্ষা রাখা ঠিক হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে।”
অবিলম্বে এ স্বীকৃতি বাতিল দাবি করে তিনি বলেন, এজন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াইও চালাবেন তারা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে মুফতি সৈয়্যদ অছিয়র রহমান, এম এ মান্নান, সৈয়্যদ মছিহুদ্দৌলা, ড. জালালুদ্দীন আল আজহারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।