এক মাসের মধ্যে এসব দাবি না মানলে সড়ক-মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সংগঠনটি তার দায় নেবে না বলে জানিয়েছে।
রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় ‘বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন’।
গত ২৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সড়ক পরিবহন আইন- ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস এবং চালকের সহকারী হতে হলে লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জাফর আহমদ বলেন, “সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় আমরা জটিলতা দেখতে পাচ্ছি। যেখানে চালকদের একটা অংশের কাছে লাইসেন্স নেই, সেখানে হেলপারদের জন্য লাইসেন্স রাখার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।”
দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর অপরাধে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিক-মালিকদের স্বার্থ পরিপন্থী এসব ধারা সংশোধন করা না হলে পরিবহন খাত হুমকির মুখে পড়বে।
কভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভারের উপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫০০ টাকার কর বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত বাতিল এবং মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণের নামে শ্রমিক-মালিকদের কাছ থেকে ‘চাঁদাবাজি’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের এই ফেডারেশন।
ফেডারেশনের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএ আইনের জটিলতা কমিয়ে সহজ পদ্ধতিতে চালকদের নতুন লাইসেন্স দেওয়া ও তা নবায়ন, প্রাইম মুভার ও ভারি গাড়ির চালকদের ‘হেভি লাইসেন্স’ দেওয়া, প্রাইম মুভারের জন্য আলাদা টার্মিনাল নির্মাণ এবং মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশের হয়রানি ও মামলা দেওয়া বন্ধ করা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বিভিন্ন ট্রাক মালিক সমিতি এবং প্রাইম মুভার ও ট্রেলার অ্যাসোসিয়েশনসহ ১৯ টি সমিতি তাদের ফেডারেশনে রয়েছে বলে দাবি করেন জাফর আহমদ।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকার দাবি না মানলে পরে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
অন্যদের মধ্যে ফেডারেশনটির সভাপতি জহুর আহম্মদ ও মহাসচিব মো. আবু মোজাফ্ফর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।