চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত সম্মেলন শেষ

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-ভারতের ডিসি-ডিএম পর্যায়ের বৈঠক ও সীমান্ত সম্মেলন শেষ হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2017, 01:23 PM
Updated : 13 April 2017, 01:23 PM

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশ, সীমান্ত পিলার নির্মাণসহ চোরাচালান প্রতিরোধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

দুপুরে সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন ও ভারতের পক্ষে দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) শ্রী চন্দ্র কুমার জামাতিয়া।

সামসুল আরেফিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ইতিবাচক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে এবং অনেক বিষয়ে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন সেগুলো আমরা তাদের জানাব, যাতে সহজভাবে সেগুলো সমাধান করতে পারি।

জেলা প্রশাসক বলেন, দুই দেশের পর্যটনশিল্পকে উন্নত করা এবং পর্যটকরা যাতে সহজে আসা যাওয়া করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

এর মাধ্যমে দুই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে এবং উভয় দেশ উপকৃত হবে বলে মনে করেন সামসুল আরেফিন।

“ঈদ-পূজা, বৈশাখসহ কমন ফেস্টিভ্যালে উভয় দেশ পরস্পরের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিব। এতে সীমান্তবর্তী লোকজন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।”

শ্রী চন্দ্র কুমার জামাতিয়া জানান, বৈঠকে মুহুরি নদীতে স্থায়ী সীমান্ত পিলার নির্মাণ, ভাঙা পিলার সংষ্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও ফটিকছড়িতে সীমান্ত হাট, বিলুনিয়া ও পরশুরাম উপজেলায় পুলিশ চেকপোস্টে বাংলাদেশ অংশে সীমানা প্রাচীর তৈরি, ইন্দো-বাংলা সেতুর জন্য রামগড়ে স্থল বন্দর নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যদের মধ্যে কুমিল্লা, ফেনী ও খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিজিবির কোম্পানি কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ভারতের পক্ষে গোমতি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট রাবেল হেমেন্দ্র কুমার, গোমতি ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপারসহ বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।