কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরদিন বুধবার এক বিবৃতিতে এই আশঙ্কার কথা জানায় ইসলামী সংগঠনটি।
আহলে সুন্নাতের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক এম এ মতিন ও সদস্য সচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বিবৃতিতে বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত ‘আত্মঘাতী’।
“এক দেশে সরকার স্বীকৃত দুটি ইসলামী শিক্ষানীতি থাকতে পারে না। এরকম দুটি নীতি থাকলে বাংলাদেশে দুটি ইসলামী ধারা তৈরি হবে, যার ফলে সংঘাত তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পাঁচটি পরীক্ষার ধাপ অতিক্রম করে একজন শিক্ষার্থীকে কামিল বা স্নাতকোত্তরের সমমান দেওয়া হয়, যা কওমি মাদ্রাসায় নেই। এ সিদ্ধান্তে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সাথে সরকার চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।”
এতে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতি ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “ধরা পড়া জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল কওমি মাদ্রাসা পড়ুয়া। এছাড়াও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সময় কয়েকটি কওমি মাদ্রাসায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।”
আহলে সুন্নাতের প্রধান সমন্বয়ক মতিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জঙ্গিরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে গেঁড়ে বসতে পারে।”
প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভুল বার্তা’ দিয়ে এ স্বীকৃতি আদায় করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
মতিন কওমি মাদ্রাসায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং আলিয়া মাদ্রাসার সিলেবাসের সঙ্গে একীভূত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।