জেলা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ধরে নেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত বলে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানিয়েছেন।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু ভিকটিমের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সেহেতু জেলা পুলিশ এর তদন্ত করবে না।”
ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে সোমবার চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুকে বুধবার রাতে নগরীর চন্দনপুরার বাসা থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পরদিন রাউজান উপজেলার বাগোয়ান এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে তার লাশ পাওয়া যায়।
তার পরিবারের অভিযোগ, রাউজান পুলিশের একটি দল নুরুকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছেন; তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে আসছে।
নুরে আলম বলেন, “পুলিশ বা ডিবি পরিচয় দিয়ে কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটনা ঘটাচ্ছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক আমরা চাই।’’
এ ঘটনায় নুরুর পরিবারের পক্ষ থেকে রাউজান থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বাদী হয়ে শুক্রবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেছে।
পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা বলেন, “ভিকটিমের পরিবারকে আমরা মামলা দিতে বলেছিলাম। তারা বলেছে আল্লাহকে বিচার জানিয়েছে, আল্লাহ বিচার করবে। গণমাধ্যমে আমরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগটি জানতে পেরেছি।
‘‘হত্যাকাণ্ডের পর যেহেতু সিআরপিসি অনুযায়ী ওসির কাছে মামলা করতে হয় সেজন্য সুরতহালকারী কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছে।”
তবে পরিবার চাইলে আদালতে মামলা করতে পারে বলে জানান পুলিশ সুপার।