শহীদ স্মরণে ৩০ লাখ গাছ রোপনের কর্মসূচি ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির

মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে প্রতিবছর সমপরিমাণ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 02:48 PM
Updated : 28 March 2017, 02:48 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

বঙ্গভবনে প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের নামে গাছ রোপনের মধ্য দিয়ে ২৫ মার্চ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বলেও জানান তিনি।

শহীদদের নামে বঙ্গভবনে মোট ২৫টি গাছ লাগানো হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, “শহীদদের স্মরণে দেশ ও দেশের বাইরে এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে আমাদের কথা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও আমাদের রক্ষা করবে।

“বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বনভূমি কমছে। যেখানে বাংলাদেশের মাত্র ১১ ভাগ বনভূমি আছে, সেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ২২ ভাগ, মিয়ানমারে ৪৮ ভাগ ও ভুটানের ৬৯ ভাগ বনভূমি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিষেধক হচ্ছে গাছ। প্রত্যেক শহীদের নামে বৃক্ষরোপন করা হবে।”

শহীদদের নামে বৃক্ষরোপন হলে সে গাছ রক্ষায় মানুষ যত্নবান হবে আশা প্রকাশ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‍“যে গাছে শহীদের নাম থাকবে, সে গাছ রক্ষায় মানুষ এগিয়ে আসবে।

“যার জমিতে গাছটা লাগানো হবে, তিনিই গাছটির মালিক হবেন। তবে শর্ত থাকবে, গাছটির বয়স ২০ বা ৩০ বছর না হওয়া পর্যন্ত তিনি গাছটি কাটতে পারবেন না।”

এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যদের কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা নেওয়ার কথাও জানান এই লেখক।

একাত্তরের গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে যেসব দেশ গণহত্যার শিকার হয়েছে ও একাত্তরে যেসব দেশ পাকিস্তানি নৃশংসতার বিরুদ্ধে সরব ছিল, তাদের সহযোগিতা নেওয়ার বিষয়ে বলেন ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি।

সিরিয়াতে এখনো গণহত্যা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরি করতে হবে।”

রোপিত গাছগুলোর তত্ত্বাবধান করতে যে এলাকায় গাছ লাগানো হবে, সে এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে গাছ রক্ষণাবেক্ষণে একটি কমিটি গঠন করে দিতে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিকে পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন।

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ উপস্থিত ছিলেন।