শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর প্রর্বতক মোড়ে স্বাধীনতা দিবস ও গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজিত ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ইডিইউ চেয়ারম্যান নোমান বলেন, “চাইলে কেউ কোটিপতি বা ধনী ব্যক্তি হতে পারেন। হতে পারেন রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সম্মান সবার ভাগ্যে জোটে না। এ সম্মান অনন্য।
“এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো যদি নিশ্চিত হয়, তবেই বলা যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে। অস্ত্র কাঁধে নিয়ে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের পর এখন বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার নতুন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।”
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বলেন, “আশা করি তরুণ প্রজন্ম এই যুদ্ধে দারুণ লড়াকু সৈনিক হয়ে বিজয়ী হবে।
“যতই ঝড়-ঝাপটা কিংবা প্রতিবন্ধকতা আসুক, ঠিক সামলে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে বাংলাদেশ কখনোই পিছপা হয় না।”
এ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন নোমান।
অনুষ্ঠানে ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভেদাভেদ কখনো কাম্য নয়। যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ভূমিকা আগামী প্রজন্ম জানার সুযোগ পাক। তাহলে তাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইডিইউর ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ-দোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ আহমেদ রিপন এবং মুক্তিযোদ্ধা সাঈদ মুহিবুদ্দিন মুহাম্মদ তৌফিক।