শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী সংগঠনটির নেতারা এই দাবি করেন।
হাফেজ শাহ আলম নঈমীর উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবিতে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও সমাবেশও করে আহলে সুন্নাত।
গত ২০ মার্চ মাগরিবের নামাজের সময় ফটিকছড়ি উপজেলার পাইনদং ইউনিয়নের কারবালা টিলা এলাকায় আশ্রাফাবাদ দরবার শরীফ মসজিদে ছুরিকাঘাত করা হয় নঈমীকে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নেতা নঈমী পাইন্দংয়ের মঈনিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
২০১৪ সালে ঢাকায় খুন হয়েছিলেন আহলে সুন্নাত নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকী। তখন দেশের নানা স্থানে জঙ্গিদের হামলা চলছিল।
সম্প্রতি জঙ্গিদের ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টার লক্ষণের মধ্যে ফটিকছড়িতে হামলার শিকার হলেন নঈমী।
সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ইব্রাহীম আল-কাদেরী বলেন, “জঙ্গিবাদী ওহাবি, হিফাজতী ও ভ্রান্ত মওদুদীবাদ সম্পর্কে আল্লামা শাহ আলম নঈমী সবসময় সোচ্চার ও আপসহীন।
তিনি বলেন, “হামলার সময় সালাউদ্দিন নামের একজনকে জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারে এখনও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন জামায়াতে ইসলামীকে যুক্ত বলে দাবি করেন আহলে সুন্নাত নেতা। ঘটনার দিন সালাউদ্দিন ছাড়াও মসজিদের বারান্দায় আরও কয়েকজন ছিলেন বলেও তার দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী আহসানুল মোর্শেদ কাদেরী, মুফতী আবুল এরফান হাশেমী, মুহাম্মদ ইসমাইল, আবুল ফারাহ ফরিদুদ্দীন, আবুল ফোরকান হাশেমী, কাজী আহসান হাবীব, নিজামুদ্দীন আশ্রাফী, নুরুল আলম রেজভী উপস্থিত ছিলেন।