সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ধরে কর্নেল হাট সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কের একটি এবং উত্তর কাট্টলীর ঈশান মহাজন সড়কের কালীবাড়ি এলাকায় আরেকটি একটি বাড়িতে এই অভিযান চলে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে এক কিলোমিটার দূরত্বে দুটি ভবনে তল্লাশি অভিযানে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সোয়াট ও বোম্ব ডিস্পাজল ইউনিটের সদস্যরাও অংশ নেন।
সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার ফারুকুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযানে কিছু পাওয়া যায়নি।”
বেলা সাড়ে ৩টায় নগর পুলিশের প্রায় চার প্লাটুন পুলিশ কর্নেল হাট সিডিএ আবাসিক এলাকার এক নম্বর রোডে ‘মমহ নিবাস’ নামে একটি ভবনে সোয়াট সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালায়।
সেখান থেকে তারা উত্তর কাট্টলী ঈশান মহাজন সড়কের কালীবাড়ি এলাকার চারতলা ভবনটিতে গিয়ে তল্লাশি চালায়।
দুটি বাড়িতে সোয়াট সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে আসার পর পুলিশ সদস্যরা আলাদাভাবে পুনরায় তল্লাশি চালায়।
অভিযানে অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এলাকার অভিযানের সময় জেলা পুলিশের পাওয়া তথ্যে ভিত্তিতে ভবন দুটিতে অভিযান চালানো হয়।
তবে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুকুল তা অস্বীকার করে বলেন, গত ৮ মার্চ থেকে সারাদেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম নগরীতেও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে । তার অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।
নিয়মিত অভিযানে সোয়াট ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল রাখার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঢাকার কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন জায়গার পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, সেসব মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
গত ৭ মার্চ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা এলাকায় পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপের পর দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন দুই জঙ্গির দেওয়া তথ্যে গত ৭ মার্চ মিরসরাই উপজেলায় একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বোমা ও চাপাতি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
এরপর গত বুধবার সীতাকুণ্ড উপজেলায় দুটি জঙ্গি আস্তানায় পুলিশ অভিযান শুরু করে। একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরেকটি বাড়িতে পাঁচজন নিহত হন, উদ্ধার করা হয় কয়েক ডজন বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম।