ভাষাসৈনিক এমদাদুল ইসলামকে স্মরণ

ভাষাসৈনিক সদ্যপ্রয়াত এ কে এম এমদাদদুল ইসলামের মৃত্যু চট্টগ্রামের প্রগতিশীল আন্দোলনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে তার শোকসভায় এসে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের রাজনীতিসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 04:35 PM
Updated : 25 Feb 2017, 04:35 PM

শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এমদাদুল ইসলামের নাগরিক শোকসভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

বক্তারা বলেন, ভাষাসৈনিক এমদাদুল ইসলাম সংস্কৃতি সমৃদ্ধ রাজনীতিক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এমদাদুল ইসলামের সততা, নীতি-আর্দশের প্রতি একনিষ্ঠতা ও স্পষ্টবাদিতা তাকে বিশিষ্ট করে তুলেছে অন্যদের থেকে।

ভাষাসৈনিক ও রাজনীতিবিদ আইনজীবী এমদাদুল ইসলাম গত ২৯ জানুয়ারি ৮৪ বছর বয়সে মারা যান।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এমদাদুল ইসলাম সর্বশেষ ঐক্য ন্যাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর আগে তিনি গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধীসহ সকল গণআন্দোলনে চট্টগ্রামে সামনের কাতারে ছিলেন ছিলেন এমদাদুল ইসলাম।

তার মৃত্যুতে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টচার্য, ইস্টডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী  লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ, শোকসভা কমিটির সদস্য সচিব এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ন্যাপনেতা আলী নেওয়াজ খান, আইনজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন, গণফোরাম নেতা জানে আলম, পাহাড়ি ভট্টচার্য ও কালাম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

১৯৩৩ সালের ১৮মে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ইমামনগরে জন্ম নেন এমদাদুল ইসলাম। কলেজ জীবনে বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ছাত্রজীবনে ১৯৫৭ সালে ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পঞ্চাশের দশকে তিনি যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হন।

১৯৪৮ সালে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় ঝুকে পড়েন ভাষার আন্দোলনে। ১৯৪৮ সালে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে ঢাকায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ঘোষণা সংবাদপত্রে দেখার পর তিনি ভাষা আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন।

চট্টগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও একুশের প্রথম কবিতার রচয়িতা মাহবুব উল আলম চৌধুরীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। জেলা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এমদাদুল ইসলামের ওপর দায়িত্ব পড়ে ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট কলেজ এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করার।