চট্টগ্রামে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আ. লীগে সংঘর্ষে সভা পণ্ড

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2017, 02:39 PM
Updated : 18 Feb 2017, 02:39 PM

শনিবার বিকালে উপজেলা সদরের পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়া নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। সালামের গ্রামের বাড়ি হাটহাজারীতে।

সংঘর্ষের সময় মঞ্চে উপস্থিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন নেতাকর্মীদের থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরুর পর উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুর অনুসারীরা আগে ফুল দিতে চান।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমানের অনুসারীরা ‘নিয়ম মেনে’ ফুল দিতে বললে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে প্রত‌্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উভয়পক্ষের লোকজন এ সময় হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়ে। ভাংচুর করা হয় অনেক চেয়ার।

মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন মাইকে তাদের নিবৃত্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। শেষে ব্যর্থ হয়ে মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করলে তা বাতিল হয়ে যায়।

এসময় এম সালাম ছাড়াও উত্তর জেলা ও হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা মঞ্চে ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়ার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু কয়েকটি বিশৃঙ্খলাকারী গ্রুপ এটা না মানায় এ ঘটনা ঘটে।

যার জন‌্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, সেই চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম‌্যান এম এ সালাম বলছেন, “অনুষ্ঠান পণ্ড হয়নি। সংঘর্ষের পর আমি ও অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দিলে মাগরিবের আগে অনুষ্ঠান শেষ হয়।”

স্থানীয় ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ‘অনাকাঙিক্ষত ঘটনা’ ঘটে বলে মন্তব‌্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলেননি। ‘পরে ফোন করেন’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।