শনিবার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ১১ দিনব্যাপী একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বইমেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশের নামিদামি প্রকাশকেরা অংশ নেন।
“তাই এ সময়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বইমেলায় প্রকাশকদের নিয়ে আসার যতই চেষ্টা করা হোক না কেন, তাদের এখানে আসতে এক ধরনের অনীহা কাজ করে। ফলে অনেকটাই দায়সারাগোছের মেলা হয়।”
চট্টগ্রামের বইমেলাকে জমজমাট করে তুলতে নতুন করে চিন্তাভাবনার প্রয়োজন আছে বলে মন্তব্য করে আগামী বছর থেকে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বড় পরিসরে বই মেলা করা পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র।
চট্টগ্রামের লেখক ও প্রকাশকদের সঙ্গে আলোচনা করে কোন মাসে এ বইমেলা হবে তাও আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।
“সিটি করপোরেশন চট্টগ্রামে এমন একটি বইমেলা করতে চায়, যে মেলাকে কেন্দ্র করে লেখক ও প্রকাশকেরা নতুন নতুন বই প্রকাশ করবেন এবং পাঠকও সৃষ্টি হবে,” বলেন আ জ ম নাছির।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউটের প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উদ্বেোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, প্যানেল মেয়র হাসান মাহমুদ হাসনি ও সৃজনশীল প্রকশনা পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু।