পুলিশ বলছে, নিহত ইয়াসিন আরাফাত (২২) সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বষের্র ছাত্র। তিনি সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের কামাল উদ্দিনের ছেলে।
শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোতয়ালি থানার আমতল এলাকার হোটেল সাফিনার সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান থানার ওসি জসিম উদ্দিন।
হারুন নামে আহত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা দুইজনই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল আহাদের অনুসারী।
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি জসিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে আমতল এলাকায় নিজেদের মধ্যে বিরোধের জেরে একে অপরকে ছুরিকাঘাত করে আরাফাত ও হারুন।
এসময় গুরুতর আহত ইয়াসিনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আহত হারুনকে আটক করা হয়েছে।
“সকালেও তাদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল বলে জেনেছি।”
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারুন সাংবাদিকদের বলেন, “সকালে আমাদের কিছু ছোট ভাইয়ের সাথে ইয়াসিনের ছোট ভাইদের মধ্যে সমস্যা হয়। পরে কলেজে বড় ভাইরা সেটি মিটমাট করে দেন।”
হারুনের দাবি, এ ঘটনার পর দুপুরে তিনিসহ তার কয়েকজন বন্ধু আমতল এলাকায় ভাত খেতে গেলে ইয়াসিনের নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়।
ইয়াসিনের অনুসারীরা তাকে মার্কেটের ভেতর একটি গলিতে নিয়ে মারধর করেছে অভিযোগ করে হারুনের দাবি, ইয়াসিনের অনুসারীদের কাছে ওই সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র থাকলেও তাদের কাছে কিছু ছিল না।
হারুন জানান, নিহত ইয়াসিন ও তিনি নগর ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল আহাদের অনুসারী ছিলেন। তবে তিনি আহাদের পক্ষে থাকলেও ইয়াসিন কয়েক মাস ধরে একা একা চলত।
নিহত ইয়াসিনের চাচা আফসার উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেওয়ান বাজার মৌসুমী আবাসিক এলাকায় ইয়াসিনের বাবার একটি মুদি দোকান আছে। তিনি (ইয়াসিনের বাবা কামাল) ওই এলাকায় থাকলেও ইয়াছিন নগরীর রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় ব্যাচেলর থাকত।”
কামাল উদ্দিনের তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে ইয়াসিন সবার ছোট বলেও জানান তিনি।