নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পাঁচতলা ভবনের এ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য চারটি সম্ভাব্য জায়গা বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (বিএমইটি)।
চট্টগ্রামে প্রবাসী কল্যাণ কেন্দ্র হলে শ্রমিকদের বিদেশে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে ফ্লাইট বিলম্বসহ অন্যান্য কারণে সাময়িক সময়ের জন্য আবাসন সুবিধার পাশাপাশি তাদের নিরাপদ অর্থ লেনদেন, ব্যাংকিংসহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া যাবে বলে জানান বিএমইটি কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাবাসীদের বড় একটি অংশ চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করেন। ‘প্রবাসী কল্যাণ কেন্দ্র’ হলে তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন এখান থেকে মেটানো যাবে।
পাশাপাশি গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রস্তাবিত একটি জায়গার ডিজিটাল সার্ভেও ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জাহিরুল।
বিএমইটি’র প্রস্তাবে কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বিমানবন্দরের কাছের চারটি জায়গা প্রস্তাব করা হয়েছে। তার মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম বন্দর, একটি বিমানবন্দর ও অন্যটি ব্যক্তি মালিকানার।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের, চট্টগ্রাম-৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিএমইটি’র প্রস্তাবিত তিনটির মধ্যে একটি জায়গায় সার্ভে করে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন তারা। প্রবাসী কল্যাণ অধিদপ্তর বিস্তারিত প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাবে।
সিভিল এভিয়েশন যে উচ্চতার অনুমোদন দেবে সেভাবে ভবনটি নির্মাণ করা হবে।
বিএমইটির এই কর্মকর্তা বলেন, প্রবাসীরা দেশে আসলে কিংবা যাওয়ার পথে অনেক সময় ফ্লাইট বিলম্ব হলে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হলে প্রবাসীদের সেসব সমস্যা অনেকটা লাঘব হবে।
এছাড়াও প্রবাসীরা দেশে আসার পর কিংবা যাওয়ার পথে প্রয়োজনীয় টাকা- পয়সা ও মালামাল নিয়েও অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। কেন্দ্র নির্মাণ হলে তারা ব্যাংকিং সুবিধা ও সাময়িকভাবে অবস্থান সুবিধা এবং খাওয়া-দাওয়ার সুবিধা পাবেন।
যাওয়া-আসার পথে অসুস্থ হয়ে পড়া যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি পরিবহন সুবিধাও এখান থেকে দেওয়ার কথা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলে বিএমইটি।
কেন্দ্রে ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মেসিসহ দেশীয় বিভিন্ন হস্তশিল্পের দোকান রাখারও পরিকল্পনা করেছে তারা।