চট্টগ্রামে আদালত ভাংচুর: দায়ীদের শাস্তি দিতে বার কাউন্সিলকে চিঠি

চট্টগ্রামে আদালতের এজলাস কক্ষ ভাংচুরের ঘটনায় দায়ী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2017, 03:11 PM
Updated : 23 Jan 2017, 03:11 PM

দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা সুপ্রিম কোর্টকে জানাতেও বলা হয়েছে সোমবার পাঠানো এই চিঠিতে।

বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার সৈয়দ দিলজার হোসেন।

গত ১৮ জানুয়ারি মানবপাচার আইনের এক মামলায় গ্রেপ্তার আইনজীবী ফজলুল কাদের ও তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারের জামিন না দেওয়ায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এজলাস কক্ষ ও বিচারকের খাস কামরা ভাংচুর করেন ক্ষুব্ধ একদল আইনজীবী।

ঘটনার পরদিন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি সেদিন থেকেই কাজ শুরু করে। 

বার কাউন্সিলে পাঠানো চিঠিতে ২০০০ সালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীদের আদালত ভাংচুরের ঘটনায় মামলা এবং দায়ী আইনজীবীদের গ্রেপ্তারের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, “মাননীয় প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বর্তমান ঘটনায় অদ্যাবধি কোনো মামলা দায়ের হয় নাই।

“আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আইনজীবীগণের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধান বিচারপতি মনে করেন, আইনজীবীগণের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ঘটনাটির সুষ্ঠু সমাধান করবে।”

আদালত ভাংচুরের ঘটনাকে আইনজীবীদের ‘পেশাগত অসদাচরণের সামিল এবং নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

“এরূপ আচরণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যাতিত অন্য কোনো বিকল্প নেই।”

চিঠিতে ভাংচুরে জড়িত হিসেবে কয়েকজনের নামও দেওয়া হয় চিঠিতে।

“কোনো কারণ ছাড়াই চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির কতিপয় আইনজীবী নজিরবিহীনভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত পেশাদগত অসদাচরণ করেন। তাদের মধ্যে আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা আদালতের নথি ছুড়ে মারেন। আইনজীবী চন্দন বিশ্বাস, সাকিল, আউয়াল খান, টিআর খান, প্রদীপ দাশ, শিবলী, মাসুদ পারভেজ, মুস্তাফিজসহ আরও কয়েকজন আদালত প্রাঙ্গণে শ্লোগান প্রদান ও বিচারকদের নাম উল্লেখ করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজসহ আদালত কক্ষ, বিজ্ঞ বিচারকের খাস কামরা ভাংচুর করেন। এবং আদালতের মূল্যবান নথি তছনছ করাসহ বিজ্ঞ বিচারকেকে তার কক্ষে অববরুদ্ধ করে রাখেন মর্মে জানা যায়।”