রোববার মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সিসিসির ১৮তম সাধারণ সভায় বিধবা ও অসচ্ছলদের পৌরকরও সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পৌরকর নিয়ে নগরজুড়ে সিসিসির মূল্যায়ন শেষ হলে নগরবাসীকে পৌরকর ধার্যের বিষয়টি অভিহিত করা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নির্ধারিত করের বিষয়ে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ আছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নগরবাসীর উপর পৌরকর আরোপের বিষয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হবে না।
গত ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নিয়মের পরিবর্তে পুরনো নিয়ম অনুসারে স্থাপনার বর্গফুট অনুযায়ী গৃহকর আদায়ের দাবি জানায় ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’।
ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে গৃহকর নিয়ে সিদ্ধান্ত ঠিক করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর মধ্যে দাবি না মানলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
গত বছরের ২১ মার্চ আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সিটি করপোরেশনের ‘পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়ন কর্মসূচি’ উদ্বোধন করে মেয়র নাছির গৃহকর আদায়ে ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানেই করপোরেশনের কর্মকর্তারা ১৯৮৬ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী বর্গফুটের পরিবর্তে স্থাপনার ভাড়ার ভিত্তিতে ১৭ শতাংশ গৃহকর আদায়ের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত কয়েকমাস ধরে কর্মকর্তারা সে অনুযায়ী নতুন হারে ট্যাক্স নির্ধারণের কাজ করছেন।
সিসিসি পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রথমবারের মত প্রণীত শিক্ষা নীতিমালা সভায় অনুমোদন করে সিসিসি।
এছাড়াও সভায় নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার চালু, উদ্যান নির্মাণ, নগরীর বাকলিয়া স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করা, সিসিসি মালিকানাধীন ঠাণ্ডাছড়ি লেক রিসোর্টের পরিকল্পিত উন্নয়ন, ৩২৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন, প্রতি ওয়ার্ডে জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়াও সিসিসি পরিচালিত সব স্থাপনা, হাটবাজার, শপিং কমপ্লেক্স, স্কুল কলেজ এবং হাসপাতালে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় সেবক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব গৃহীত হয় সভায়।