বর্ধিত ফি আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে শতাধিক বেসরকারি স্কুলের প্রধানদের সঙ্গে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
এই বৈঠকে বর্ধিত ফি নিয়ে ক্যাব অভিযোগ করলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে আরা বলেন, “ক্যাবের অভিযোগ আমি শুনব না। ক্যাব কারা? আমার কাছে কোনো অভিভাবক অভিযোগ নিয়ে আসেননি।
“ক্যাবের কোন অভিযোগ আমি আমলে নিব না। আমার কাছে কোনো অভিভাবক অভিযোগ নিয়ে আসেনি।”
এসময় ক্যাবের চট্টগ্রাম নগর সভাপতি এসএম নাজের হোসেইন সুনির্দিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে বর্ধিত ফি নেওয়ার একটি তালিকা প্রদান করেন।
এসএম নাজের হোসেইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্কুলগুলোর ভর্তিতে বর্ধিত ফি নেওয়া হচ্ছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব জেলা শিক্ষা অফিসের।
“তিনি সেটা তো করেনই না উল্টো গার্ডিয়ানদের যে অভিযোগ সেটাও তিনি স্বীকার করছেন না।”
জেলা শিক্ষা অফিসের মনিটরিংয়ের অভাবকেই তিনি ভর্তি বাণিজ্যের জন্য দায়ী করেন।
সভায় চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান আগামী দশ দিনের মধ্যে স্কুলগুলোকে বর্ধিত ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
ফেরত দিতে না পারলে বর্ধিত ফি বেতন, পরীক্ষা ফি’র সাথে সমন্বয় করে নিতে বলেন তিনি।
আগামী দশ দিন চট্টগ্রাম নগরীর স্কুলগুলোর প্রকৃত চিত্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হবে বলেও সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জানান।
ভিজিল্যান্স টিমে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালনা করার জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়।
প্রতি বছরের শুরুতে নগরীর বেসরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। তবে এ পর্যন্ত অভিযোগ উঠা কোনো স্কুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।
ভর্তি ফি নীতিমালায় মাধ্যমিকে তিন হাজার টাকার নেওয়ার কথা থাকলেও স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া পুনঃ ভর্তি ফি আদায় ও ছাড়পত্র নেওয়ার সময় অভিভাবকদের কাছ থেকে পুরো বছরের বেতন নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এসব স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনসুর ভুঁইয়া।