শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার ডাকে আগামী বুধবার থেকে চট্টগ্রাম, কক্সাবাজার ও পাবর্ত্য তিন জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ওই পরিবহন ধর্মঘট শুরুর কথা ছিল।
এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ-উল-হাসানের সঙ্গে আলোচনা শেষে আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিতের এ ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
সিএমপি কার্যালয়ে ওই বৈঠক শেষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত সিএমপি কমিশনারের সাথে আলোচনা হয়েছে।
“আমাদের দাবি পূরণের জন্য যাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন তাদের মধ্যে পুলিশ কমিশনার ও মেয়র চট্টগ্রামে নেই। তাদের উপস্থিতিতে ২৯ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কমিশনার।”
ওই আশ্বাসের প্রেক্ষাপটেই ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ‘স্থগিত’ করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ মুছা।
পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ-উল-হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিক নেতাদের বলেছি মেয়র এবং কমিশনার স্যারের উপস্থিতিতে বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
“ওই বৈঠকে তাদের দাবির মধ্যে যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব সেগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও চেষ্টা করা হবে। আশ্বাসের পর তারা পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছেন।”
গত ১৪ জানুয়ারি শ্রমিক ফেডারেশনের এক সভা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি রুটে বুধবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ওই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
এর আগে নয় দফা দাবিতে গত বছরের ২৯ নভেম্বর বৃহত্তর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন তারা। সে সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বাস-ট্রাক-প্রাইম মুভার ও ট্রেইলারের জন্য টার্মিনাল নির্মাণ, অটোরিকশা ও অটোটেম্পুর জন্য পার্কিং স্পট, অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন প্রদান ও মালিকের জমা ছয়শ টাকা নির্ধারণ, ভুয়া সংগঠনের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় পরিবহন শ্রমিক সংগঠন দখলদারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বিআরটিএ ও যুগ্ম শ্রম পরিচালকের দপ্তরের ‘দুর্নীতি-হয়রানি-অব্যবস্থাপনা’ বন্ধ, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দিয়ে কল্যাণ তহবিলের টাকা পাওয়া নিশ্চিত করা।