শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান মনপ্রাণ থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন না।
“তাকে করলডেঙ্গা পাহাড় থেকে ডেকে এনে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হলেও তিনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে বক্তব্য পাঠ করেন। পরে আমাদের দাবির মুখে তিনি সেই ঘোষণাটি প্রত্যাহার পূর্বক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ২৭ মার্চ বিকালে ওই ঘোষণাপত্রটি সংশোধনের মাধ্যমে নতুন করে পাঠ করতে বাধ্য হন”।
মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ আরও বলেন, “স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এম এ হান্নান। এই সত্যটিকে ঢেকে দেওয়ার জন্য ইতিহাসের বিকৃতি যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করা হয়েছে।”
শুক্রবার বিকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উপলক্ষে ‘বিজয় মঞ্চের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গৃহায়নমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশকে পরিকল্পিতভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করা হয়েছিল।
“এই বিজয় মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয় বরং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিসত্তার মুক্তমঞ্চ।”
এর আগে বিকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের বিজয় শিখা চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় শিখা প্রজ্জ্বলন করা হয়।
এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা পত্র পাঠ করেন বিজয় মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী ও নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।
বিজয় মঞ্চে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। পরে বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।