‘চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিচ্ছে পুলিশ’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা না নিয়ে পুলিশ ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2016, 02:11 PM
Updated : 9 Dec 2016, 02:11 PM

শুক্রবার বিকালে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) এক জরুরি যৌথসভায় পুলিশের ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘটনার পর করা মামলার এজাহারে দ্রুত বিচার আইনের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দ্রুত বিচার আইনের ধারা বাদ দিয়ে মামলা নথিভুক্ত করে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সড়ক অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করে ‘ঐক্যবদ্ধ সচেতন সমাজ বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠনের কর্মীরা। এক সাংবাদিক প্রেসক্লাব থেকে গাড়ি বের করতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে হামলা করে ওই সংগঠনের কর্মীরা। পরে তারা সংবাদকর্মীদেরও লাঞ্ছিত করে। পুলিশ গিয়ে প্রেসক্লাব থেকে চার হামলাকারীকে আটক করে।  

পরদিন রাতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও আহত সাংবাদিকদের পক্ষে বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশেষ প্রতিনিধি রমেন দাশগুপ্ত বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।

চৌধুরী ফরিদ বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রেস ক্লাবে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে।

শুক্রবারের সভায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত বিচার আইনে মামলা গ্রহণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এবং বুধবার দায়িত্বপালনকারী ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার (চট্টগ্রামের এক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার) ও কোতোয়ালী থানার ওসির অপসারণও দাবি করা হয়।

তবে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি।

হামলা ও পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১২টায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে যৌথ প্রতিবাদ সমাবেশেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে সভা থেকে।

সভায় প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করায় দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

ওই সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, সিইউজে সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক ও অঞ্জন কুমার সেন, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী ও সিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস।