চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদ শুক্রবার বিকালে এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিন মামলায় আদালতে হাজির করা হয় ।
“তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি, জামিনের আবেদনও করা হয়নি। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”
এর আগে বুধবার রাতে জঙ্গি সন্দেহে নগরীর এ কে খান এলাকা থেকে অস্ত্রসহ দুই জনকে আটক করে র্যাব।
তাদের দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কাট্টলীর মুকিম তালুকদার বাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
আটক হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) সদস্যরা হলেন- ঢাকার প্রধান সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম, মুফতি হান্নানের সহযোগী নাজিম উদ্দিন, কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক আবুজর গিফারি, নুরে আলম ও ইফতেশাম।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানায় বিস্ফোরক, অস্ত্র ও সন্ত্রাস দমন আইনে তিনটি আলাদা মামলা করেন র্যাব-৭ এর ডিএডি গোলাম রব্বানী। ওই তিন মামলাতেই হুজির পাঁচ সদস্যকে আসামি করা হয়।
এর মধ্যে প্রথম দফায় আটক তাজুল ও নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছিল। আর উত্তর কাট্টলীর ওই আস্তানায় সাতটি ম্যাগাজিন, ১২টি হাতে তৈরি গ্রেনেড (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
অভিযান শেষে ওই বাড়িতে ঢুকে উগ্র মতবাদের কিছু বই, ছাই, বেয়ারিং বল, তার, ছুরি ও চাপাতি দেখা গেছে।
আটকদের মধ্যে নুরে আলমকে নয় মাস আগে নীলফামারীর বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হয় বলে তার পরিবারের দাবি।