র্যাব-৭ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) গোলাম রব্বানী বৃহস্পতিবার রাতে আকবর শাহ থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর স্টাফ অফিসার এএসপি সোহেল মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিটি মামলাতেই গ্রেপ্তার পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
আকবর শাহ থানার এএসআই নূর সোলায়মান জানান, মামলাগুলো করা হয়েছে বিস্ফোরক, অস্ত্র ও সন্ত্রাসদমন আইনে।
র্যাবের ভাষ্য, বুধবার রাতে নগরীর এ কে খান এলাকা থেকে অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করে তারা।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কাট্টলীর মুকিম তালুকদার বাড়ি এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে আটক করা হয়।
এর মধ্যে প্রথম দফায় আটক তাজুল ও নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে দুটি পিস্তল উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র্যাব। আর ওই বাড়িতে অভিযান শেষে সাতটি ম্যাগাজিন, ১২টি হাতে তৈরি গ্রেনেড (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম পাওয়ার কথা বলা হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
অবশ্য গ্রেপ্তারদের মধ্যে নূরে আলমকে নয় মাস আগে ‘প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে’ নীলফামারীর বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হয় অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
নূর আলম (২২) নীলফামারী সরকারি কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের কর্নেলহাটে র্যাবের অভিযানের পর টেলিভিশনে তার ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন তার মা নীলফামারী শহরের উকিলের মোড় মহল্লার বাসিন্দা নূর নাহার বেগম।
তিনি বলছেন, গত ১১ এপ্রিল রাতে তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারে প্রায় ৪০ জন এসে ‘প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে’ বাড়ি থেকে নূরে আলমকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন নীলফামারী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হলেও পুলিশ নূর আলমের খোঁজ দিতে পারেনি।