বৃহস্পতিবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক গোলটেবিল বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।
নতুন ইসি গঠনের আগে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
“একটি নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচনের কমিশন গঠনে খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাবনা চলমান সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি সুযোগ তৈরি করেছে।
“এ প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। আমরা চাই এগুলো নিয়ে আলাপ হোক। আমরা যে সাংঘর্ষিক রাজনীতির বৃত্তে আটকে আছি সেটা থেকে বের হতে যদি উভয় দল আন্তরিক হই, তাহলে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, আলাপ-আলোচনা, সংলাপের ও সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশ থেকে নির্বাচন হারিয়ে গেছে, ভোটাধিকারের কথা মানুষকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
“এমন একটা সময়ে আমরা বসবাস করছি, যেখানে ভোটাধিকার নাই; রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার নাই।”
পিআরও (রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপল অর্ডার) থেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাদ দেওয়ার সমালোচনাও করেন বিএনপির এই নেতা।
“২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সেনাবাহিনীকে বাদ দেয় নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে। এটা তাদের প্রজেক্টেরই অংশ যাতে, নিজেদের দলীয় প্রশাসন ও বাহিনী দিয়ে যাতে নির্বাচনে উৎরে যেতে পারে।”
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া সামরিক শাসনকে আমন্ত্রণ জানানোর শামিল বলে যারা মন্তব্য করছেন, তাদের সমালোচনাও করেন আমীর খসরু।
“মার্শাল ল যাতে আসতে না পারে, সেজন্যই সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়া দরকার।”
‘নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন-গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত’ শীর্ষক এই গোলটেবিলে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ আইনজীবী কবীর চৌধুরী।
বৈঠকে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, “খালেদা জিয়ার যে ১৩ দফা প্রস্তাব, সেখানে কোথাও বিএনপি বা বিএনপি ঘরানার লোক রাখতে হবে সে কথা বলা হয় নাই।”
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াহিয়া আক্তার, নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান এবং সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন।