ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৫

চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2016, 12:39 PM
Updated : 4 Dec 2016, 02:38 PM

নগরীর পাহাড়তলী, আকবরশাহ ও হাটহাজারি উপজেলা থেকে শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানান।

এরা হলেন- মো. দিদারুল আলম (৪১), আব্দুল আওয়াল তুহিন (২৭), রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (৩০), মোহাম্মদ আলী (৩০) ও ফয়সাল আহমেদ মাকসুদ (২৬)।

এদের মধ্যে রিয়াজ সাজাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের ‘শিবির ক্যাডার’ নাছিরের ছোট ভাই বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সন্তোষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২০ নভেম্বর বন্দর থানার ফকির হাট এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে মোট ১১ জন জড়িত ছিল, যাদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী ছিল রিয়াজ। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, রিয়াজের মাধ্যমে মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বোনজামাই গোলাম কিবরিয়া দুবাই থেকে দেশে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পাঠায়। গত ২০ নভেম্বর তারা শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে মালামালগুলো নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে ফকির হাট এলাকায় একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে।

বন্দর থানার ফকির হাট এলাকায় চায়ের দোকানে খাওয়ার সময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চার জন তাদের কাছে অবৈধ মালামাল আছে দাবি করে মালামালগুলো অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়। পরে হালিশহর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের ফেলে দিয়ে মালামালগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়।

পিবিআই কর্মকর্তা সন্তোষ জানান, এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা হলে পিবিআই মামলাটির তদন্তে নামে।

“বক্কর নামে একজনকে রিয়াজ মালামালগুলোর বিষয়ে জানালে সে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেজন্য ১৯ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার ফয়সাল, আলীসহ কামাল, বক্কর, হাবিব বৈঠক করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর সকালে তাদের কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইয়ের সময় তুহিন, হাবিব, মানিক, কামাল ও অজিজ মাইক্রোবাসে অবস্থান করে সরাসরি অংশ নেয় এবং আলী ও মিনান নামে অপর একজন মোটরসাইকেলে এবং ফয়সাল অপর একটি প্রাইভেট করে অবস্থান নেয়।”

হোটেলর সিসি ক্যামেরায়ও তাদের দেখে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সকালে পাহাড়তলী নিজ বাসা থেকে ফয়সালকে এবং সিডিএ মার্কেট থেকে আলী, দিদার আকবর শাহ এলাকা থেকে তুহিনকে এবং হাটহাজারি উপজেলার নাজিরহাট থেকে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয় এবং অন্যদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ।