শুক্রবার বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম সারোয়ারকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল গাফ্ফার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের বিশাখাপত্তম বন্দরে যাওয়া কন্টেইনার খুলে পাওয়া যুবকের নাম রোহান হোসেন। তিনি ১২দিন আগে কন্টেইনারে প্রবেশ করেছিলেন।
তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে জানিয়ে বাংলাদেশে তিনি এসি মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খবর নেওয়া শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করল।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, কন্টেইনারটি সিনার বাটাম নামে পানামা পতাকাবাহী একটি জাহাজে ছিল, যেটি গত ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে পরদিন বিশাখাপত্তম বন্দরে পৌঁছায়।
যে কন্টেইনারে রোহানকে পাওয়া গেছে সেটি ঢাকার রূপগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে একই দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে জাহাজটিতে বোঝাই হয়।
বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) আবদুল গাফ্ফার বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় শিপিং এজন্ট সংশ্লিষ্ট লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করেছি। খাবার ও পানি ছাড়া যুবকটি এতদিন কিভাবে কন্টেইনারে বেঁচে ছিল তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।”