চট্টগ্রামে মা-মেয়েকে এসিড নিক্ষেপের স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড এলাকায় এক তরুণী ও তার মাকে এসিডে ঝলসে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ওই তরুণীর সাবেক স্বামী জানে আলম ওরফে জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 02:43 PM
Updated : 1 Oct 2016, 02:43 PM

চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম নাজমুল হোসেন চৌধুরীর আদালতে শনিবার তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামি জাহাঙ্গীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকালে নগর পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তালাকের প্রতিশোধ নিতেই জাহাঙ্গীর তার সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িকে এসিড ছুড়ে মেরেছিল।

অটোরিকশার চালক জাহাঙ্গীর তার অটোরিকশার ব্যাটারিতে ব্যবহৃত এসিডই সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িকে লক্ষ্য করে ছুড়েছিল বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশের কাছে জাহাঙ্গীর দাবি করেন, শেলী আক্তার তাকে তালাক দিলেও সে স্ত্রীকে তালাক দেয়নি। এখনও সে শেলীকে ভালোবাসে। তাই তালাকের প্রতিশোধ নিতে এসিড ছুড়ে মারে।

গত সোমবার ভোরে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠের বিপরীতে একটি বস্তিতে শেলী আক্তার (২২) ও তার মা হোসনে আরা বেগমকে (৫৫) এসিডে ঝলসে দেয় শেলীর সাবেক স্বামী জাহাঙ্গীর।

অটোরিকশার চালক জাহাঙ্গীরের সাথে বিয়ের পর বছর খানেক আগে শেলীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়।

শেলী পলোগ্রাউন্ড মাঠের বিপরীতে একটি টং দোকানে চা বিক্রি করতেন। দোকানের পেছনে বস্তির একটি কাঁচা ঘরে মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি। সোমবার ভোরে জাহাঙ্গীর বাসার বাইরে থেকে এসিড ছুড়ে মারলে শেলী ও তার মা দগ্ধ হয়।

ঘটনার দিন পুলিশ কর্মকতা নূর আহম্মদ জানান, “অটোরিকশা নিয়ে এসে জাহাঙ্গীর এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। তার অটোরিকশাটি পুলিশ জব্দ করেছে।”

এসিড দগ্ধ মা-মেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

এসিড ছোড়ার পর ঢাকার রূপনগর এলাকায় বড় ভাইয়ের কাছে লুকিয়ে ছিলেন জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে পুলিশ।