সোমবার ভোরে কোতোয়ালি থানার পলোগ্রাউন্ড মাঠের বিপরীতে একটি বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।
এসিড দগ্ধ শেলী আক্তার (২২) ওই এলাকায় একটি টং দোকানে চা বিক্রি করতেন। স্থানীয় একটি বস্তিতে মাকে নিয়ে থাকতেন তিনি।
শেলীর মা হোসনে আরা বেগমও (৫৫) এসিডদগ্ধ হয়েছেন বলে জানান কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ।
এসিডদগ্ধ দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা নূর আহম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মো. জাহাঙ্গীর নামে এক অটোচালকের সাথে বিয়ের পর বছর খানেক আগে শেলীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়।
শেলী পলোগ্রাউন্ড মাঠের বিপরীতে একটি টং দোকানে চা বিক্রি করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, দোকানের পেছনে বস্তির একটি কাঁচা ঘরে সে তার মাকে নিয়ে থাকত।
“ভোরে জাহাঙ্গীর বাসার বাইরে থেকে এসিড ছুঁড়ে মারলে শেলী ও তার মা দগ্ধ হয়।”
নূর আহম্মদ বলেন, অটোরিকশা নিয়ে এসে জাহাঙ্গীর এসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তার অটোরিকশাটি পুলিশ জব্দ করেছে।
দগ্ধ মা-মেয়েকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এসিডদগ্ধ শেলীর মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মোট ১৫ শতাংশ এবং তার মা’র শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং জাহাঙ্গীরকে পুলিশ খুঁজছে বলে জানান পরিদর্শক নূর আহম্মদ।