বুধবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘চট্টগ্রাম নগরী সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি’র এক সভায় এ পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কমিটি গঠন করে তার তালিকা পাঠানোর তাগাদার প্রেক্ষিতে এ সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলররা, যাদের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত।
মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতার সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গঠিত এসব কমিটি কাজ করবে। কমিটিতে স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যাতে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
“এমনিতে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি আছে। তাই কমিটিগুলো করতে হবে ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ইমাম, সাবেক কাউন্সিলর এদেরকে নিয়ে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গঠিত কমিটি যেন রাজনৈতিক কমিটি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।”
কমিটিতে যাতে ‘ক্লিন ইমেজের’ মানুষ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলরদের পরমার্শ দেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, “ডিসি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিসিদের একটাই কাজ- সেটা হল জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করা’। সে কাজ সম্ভভ হবে যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেন।”
মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জুমার খুতবায় যে ইমামরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে খুতবা দিতে চায় না তাদেরকে খুতবা দিতে বাধ্য করতে হবে।
মানুষের মধ্যে জঙ্গিবাদ বিরোধী চেতনার উন্মেষ দেখে জঙ্গিবাদ নির্মূলে সময়ের ব্যাপার বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
“হলি আর্টিজানের ঘটনার পুলিশের অভিযানের মুখে জঙ্গিরা এখন কোণঠাসা। যে কয়টা আছে সেগুলো দেশে ঘাপটি মেরে আছে। এগুলোও পাকড়াও হয়ে যাবে। সময়ের ব্যাপার মাত্র।”
জেলা প্রশাসকের বক্তব্য শেষে কাউন্সিলররা কমিটি বিষয়ে নিজেদের মতামত দেন। জেলা প্রশাসক এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ নিজ ওয়ার্ডের কমিটির তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মমিনুর রশিদ।