রিয়াল দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

সৌদি রিয়াল দেখিয়ে প্রতারণা করে পথচারীদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2016, 12:23 PM
Updated : 30 August 2016, 01:36 PM

সোমবার রাতে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার টংক ফকিরের মাজারের সামনে থেকে গ্রেপ্তার এই তিনজন ফরিদপুর থেকে বন্দর নগরীতে এসেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

তারা হলেন- জমির আহমদ (৪৭), সাদ্দাম শেখ (২৮) ও আদম শিকদার (৩০। তারা ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক পথচারীকে সৌদি রিয়াল দিয়ে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সময় মাজার এলাকায় সাদ্দামকে ধরে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। তখন পুলিশ গিয়ে সাদ্দামের অন‌্য দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।”

জমির তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধ্যম বনগাঁও ধোপাভিটা এলাকায় হাঁস-মুরগির ব্যবসা করতেন। সাদ্দাম ঢাকায় রঙ মিস্ত্রি এবং আদম চট্টগ্রাম নগরীতে ফেরিওয়ালার কাজ করতেন।

জমির পুলিশকে বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ির অনেকেই মানুষের সঙ্গে প্রতারণাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। দ্রুত সময়ে বেশি টাকা রোজগারের জন্য তারা প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আব্দুর রহীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার আদম জানিয়েছে, সে মূলত রিকশাচালকের বেশে চলাফেরা করে। সাধারণ যাত্রীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়।”

আদম পুলিশকে জানায়, প্রতারণার জন্য তারা তিনজনে তিনটি ৫০ টাকার সৌদি রিয়াল সংগ্রহ করে। রোববার আগ্রাবাদ এলাকা থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় যাওয়ার পর ৫০ টাকার রিয়ালটি ওই যাত্রীকে ভাঙ্গাতে দেয়।

আদমের দাবি, ওই ব্যক্তি রিয়ালের বিনিময়ে তাকে এক হাজার ৫০ টাকা দেয়। এসময় দুজনের মধ্যে মোবাইল নম্বর বিনিময় করে সোমবার ওই যাত্রীকে আবার ফোন দিয়ে আরও রিয়াল বিক্রির কথা বলেন।

সোমবার রাতে আগ্রাবাদ মোড়ে ওই ব্যক্তি আসার পর সেখানে সাদ্দাম ও জমিরকে ডেকে আনেন আদম। এরপর গামছা বাঁধা পুটলিতে আরও রিয়াল দেওয়া হয় ওই ব‌্যক্তিকে। 

ওসি মর্জিনা জানান, “গামছা বাঁধা ওই পুটলিতে কিছু পেপার কাটিং ছিল। তা ভারী করা জন্য সেখানে সাবান রাখা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি পুটলিটি নেওয়ার পর কাগজ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। তখন স্থানীয়রা সাদ্দামকে ধরে পিটুনি দেয়।”

এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার ব্যক্তি সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেছেন।