রোববার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হত্যার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ১৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন- মেজবাহ উদ্দিন, আহমেদ হোসেন, আবু আহমেদ, মফিজ উদ্দিন, মোজাহের আহমেদ ও নুর হোসেন। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন পলাতক, অন্যরা কারাগারে।
বিচারক যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে আরও তিনমাস বেশি দণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিদের।
আইনজীবী আবদুর রশিদ বলেন, বিচারক অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয়জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এছাড়া মামলা চলাকালে একজন আসামির মৃত্যু হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২ মে বাঁশখালী উপজেলার বৈলছড়ি এলাকায় একটি গভীর নলকূপ স্থাপন নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন শফিকুল ইসলাম বাকু নামে এক ব্যক্তি।
এ ঘটনায় শফিকুলের বাবা দুলা মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।