চট্টগ্রামে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পোশাক শ্রমিকদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন; আটক করা হয়েছে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে।

চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2016, 07:58 AM
Updated : 24 August 2016, 09:16 AM

নারী কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব‌্যবহারের অভিযোগে এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বুধবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরুর পর বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

প্রত‌্যক্ষদর্শীরা জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করলে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সংঘর্ষের মধ‌্যে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) আবদুর রহিম, কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহম্মদসহ অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।  আর পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে আহত হন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক।

এশিয়ান অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানা নগরীর স্টেশন রোড এলাকা থেকে মাসখানেক আগে উত্তর কাট্টলী বাদামতল এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। স্টেশন রোডের পাঁচ তলা পুরনো ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় কারখানার প্রধান কার্যালয় থেকে যায়।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে উত্তর কাট্টলীর কারখানায় কাটিং সেকশনের নারী শ্রমিকরা কাজ করছেন না অভিযোগ তুলে তাদের গালিগালাজ করেন একজন সুপারভাইজার।

এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর স্টেশন রোডে প্রধান কার্যালয়ের সামনে সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। 

কোতোয়ালির ওসি জসিম উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের অভিযোগ শুনবে- এই আশ্বাস দেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা শান্ত হন।

কিন্তু বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কারখানার শ্রমিকরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নিউ মার্কেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আবার বিক্ষোভ শুরু করে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি বলেন, “সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে তারা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে আমরা শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে যাই। এ সময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।” 

এরপর পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান ওসি। 

তিনি বলেন, সংঘর্ষের পর শতাধিক বিক্ষোভকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

এ সময় বহু নারী শ্রমিককেও আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা যায়।

কয়েকজন শ্রমিক দাবি করেন, আলোচনার জন্য বুধবার মালিকপক্ষের বসার কথা থাকলেও তারা আসেননি। এ কারণে শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ ‘বিনা কারণে’ মারধর করে বলে তাদের অভিযোগ।