আবর্জনা অপসারণে ‘ডোর টু ডোর’ ব্যবস্থায় যাচ্ছে সিসিসি

দায়িত্ব গ্রহণের পর রাতে আবর্জনা অপসারণের কার্যক্রম শুরু করলেও তা থেকে সরে এসে এবার ঘরে ঘরে গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 July 2016, 03:57 PM
Updated : 30 July 2016, 03:57 PM

শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) সম্মেলন কক্ষে এক সভায় সোমবার থেকে ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে বলে জানান মেয়র।

১ অগাস্ট থেকে নগরীর সাতটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম শুরু হবে।

ওয়ার্ডগুলো হলো- ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর, ৮ নম্বর শুলকবহর, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম, ২২ নম্বর এনায়েত বাজার, ২৩ নম্বর পাঠানটুলি, ৩১ নম্বর আলকরণ ও ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা।

শনিবারের সভায় মেয়র নাছির বলেন, প্রতিটি ঘর-বাড়ি, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিন (ঝুড়ি) সরবরাহ করা হবে। নির্ধারিত সময়ে বিনগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় ডাম্পিং করা হবে।

“বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সফলতার লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।”

মেয়র নাছির বলেন, নগরবাসীকে বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও কিছু নাগরিক নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলে যত্রতত্র, যখন-তখন ফেলছে। যা দুঃখজনক ও কাম্য নয়।

নগরবাসীকে নির্ধারিত সময়ে ও নির্দিষ্ট স্থানে আর্বজনা ফেলতে আহ্বান জানান নাছির।

এরআগে গত ১১ মার্চ এক অনুষ্ঠানে ওই মাসেই ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিলেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যোগাড় করতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি।

এরপর ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘ডোর টু ডোর’ আবর্জনা অপসারণ শুরুর কথা জানান নাছির।

ওইদিন তিনি বলেন, ১ অগাস্ট সাতটি, ১ সেপ্টেম্বর নয়টি, ১ অক্টোবর নয়টি, ১ নভেম্বর আটটি ও ১ ডিসেম্বর আটটি ওয়ার্ডকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

প্রয়োজনীয় ১০ লাখ বিনের স্থলে মাত্র সাড়ে ১২ হাজার বিন যোগাড় হয়েছে জানিয়ে নাছির সেদিন বলেন, “দিচ্ছি, দেব করেও অনেকে দেয়নি। তবু যে কোনো মূল্যে এটা করবই।”

এরআগে গত বছরের জুলাইয়ে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে নগরীতে রাতের বেলা বর্জ্য অপসারণ শুরু করে নাছির।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ময়লা ফেলতে নগরবাসীকে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত তা অপসারণে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সময়ে বেঁধে দেওয়া হয়।

শুরুর দিকে কয়েক মাস এ ব্যবস্থা কার্যকর হলেও পরে তা কার্যকারিতা হারায়।

দিনের বিভিন্ন সময় নগরীর বেশকিছু ডাস্টবিনে উপচে পড়া আর্বজনা নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এ বিষয়ে গত সপ্তাহে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাছির বলেন, “রাতে আবর্জনা অপসারণ শতভাগ সফল হয়নি। এজন্য পরের ধাপে যাচ্ছি। আশাকরি ডোর টু ডোর আবর্জনা সংগ্রহে শতভাগ সফল হব।”

তবে এর আগে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে রাতে আবর্জনা অপসারণের উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছিলেন। এরপর মনজুর আলম মেয়র হলে সে কার্যক্রমের পরিবর্তে দিনে আবর্জনা অপসারণ শুরু হয়।

নাছির মেয়র হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহিউদ্দিনের মতই রাতে ময়লা অপসারণের উদ্যোগ নেন।