সোমবার কোতোয়ালি থানায় ১০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ফারুকী।
কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই কামরুন নাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭৩ ধারায় মামলাটি হয়েছে।
গ্রেপ্তার আট জনসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার রাতে রিয়াজউদ্দিন বাজারের সিডিএ রয়েল প্লাজার পাঁচটি দোকানে অভিযান চালিয়ে চার হাজার ৩২১টি বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ‘নিবন্ধিত’ সিম জব্দের কথা জানান গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হুমায়ন কবীর।
এরমধ্যে মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ২০৩১টি, বাংলালিংকের ৬৮৮, গ্রামীণফোনের ৪৭১, রবি’র ৩৪১ ও এয়ারটেলের ৭৯০টি সিম রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আট জন হলেন- আজম ব্রাদার্সের মোহাম্মদ আজম (২০), সেলিম টেলিকমের মামুনুর রশিদ (২১), এন এস এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ রোকন (২৫), একই প্রতিষ্ঠানের এস এম বাপ্পা (২৪), খান টেলিকমের রুবেল ঘোষ (৩০), একই প্রতিষ্ঠানের এমরান হোসেন (২১), মোস্তফা টেলিকমের আবু বক্কর সিদ্দিকী (২৪) এবং শাহাদাত হোসেন (৩৪)।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এসব সিম ভুয়া নামে নিবন্ধিত করে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল।
কীভাবে এত পরিমাণ মোবাইল সিম নিবন্ধিত হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (আইসিটি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সংঘবদ্ধ চক্র কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের জন্য এগুলো জমিয়ে রেখিছিল কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”
সিম নিবন্ধনের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরদের জানানো হয়েছে বলেও জানা তিনি।