রোববার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
মামলায় আরেক আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে এবং অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি বি কে বিশ্বাস।
তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রমজান আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে; অনাদায়ে তাকে আরও পাঁচ বছর কারা ভোগ করতে হবে।
অতিরিক্ত পিপি বি কে বিশ্বাস বলেন, অপর আসামি ননাইয়্যা ওরফে ডাইল্লাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রমজান পলাতক থাকলেও ডাইল্লা কারাগারে আছেন। মোহাম্মদ ইউনূস ও নুরুল আলম সওদাগর খালাস পেয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চনপুর তেলিপাড়া এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী লোকমানের সঙ্গে রজমান আলীদের বিরোধ দীর্ঘদিনের।
এর জের ধরে ১৯৯৬ সালে ২২ অক্টোবর তারা লোকমানকে মারধর এবং গাছ দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। হাসাপাতলে নেওয়ার পর লোকমানের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন তার বাবা পাঁচজনকে আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৭ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
আইনজীবী বি কে বিশ্বাস জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার রায় দিয়েছে আদালত।
আরেক আসামি নূর হোসেন বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।