চট্টগ্রামে ওষুধের দোকান-ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা

মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার ও অদক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 04:13 PM
Updated : 28 June 2016, 04:13 PM

আর অনুমোদনহীন কারখানায় নোংরা পরিবেশে সেমাই উৎপাদন করায় চট্টগ্রামের এক ব্যক্তিকে এক মাস কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসন পরিচালিত আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোড এলাকায় র‌্যাব পরিচালিত অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম নেতৃত্ব দেন।

একই আদালত নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অপরাধে আরও তিনটি ওষুধের দোকানকে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার হলো- এপেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ডাক্তারের পরিবর্তে ‘অদক্ষ’ টেকনেশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা রিপোর্টে স্বাক্ষর করানো এবং পরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার ও তা যথাযথ সংরক্ষণ না করায় এপেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আর ‘অদক্ষ’ লোক দিয়ে এক্স-রে মেশিন চালানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রাসায়নিক ব্যবহার করায় শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সরোয়ার আরও জানান, অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি করায় আগ্রাবাদ আই হসপিটালের নিজস্ব ওষুধের দোকানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পাশাপাশি নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রির অপরাধে সাইক ফার্মেসিকে দুই লাখ, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে এমএন সন্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত সোমবার নগরীর অন্যতম পাইকারী ওষুধ বাজার হাজারি গলিতে অভিযান চালিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ও সরকারি হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ওষুধ বিক্রির অপরাধে ৩১টি দোকানকে ৫৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল র‌্যাবের এ ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে অনুমোদনহীন কারখানায় নোংরা পরিবেশে সেমাই উৎপাদন করায় এক ব্যবসায়ীকে এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ ধুড়িচর এলাকায়।

এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম।

ফোরকান এলাহী অনুপম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারখানাটির মালিক চৌধুরী ফুড প্রোডাক্টস। উৎপাদিত নোংরা সেমাই ‘বাটার বল’ ব্র্যান্ড নাম দিয়ে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল।

এছাড়াও এ কারখানার কোনো অনুমোদন ছিল না। এসব অভিযোগে কারখানা মালিক মো. মইনুদ্দিন চৌধুরীকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান।