ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাঁচ তলা মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩৩টি দোকানের একটিতে আগুন লাগে।
আটটি ফায়ার স্টেশনের ২০টি গাড়ি তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও বিকাল পর্যন্ত সেখানে ডাম্পিং চলছিল।
সকালের ওই সময়ে দোকানপাট না খোলায় ক্রেতা ছিল না। এ কারণে বড় ধরনের জটিলতা এড়ানো সম্ভব হয় বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর শাহীদুর রহমান জানান, সকালে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা সেখানে যান। তারাই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়া এক কর্মচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান।
হাসান সেন্ট্রাল প্লাজার নিরুপমা ফ্যাশন নামের একটি টেইলার্সের দোকানে কাজ করতেন। তার বাবার নাম আবদুল জব্বার; বাসা নগরীর ডোবারপাড় এলাকায়।
মূল ধোঁয়ার কারণেই হাসান মুমূর্ষু হয়ে পড়েন বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, পাঁচতলা ওই ভবনে পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে দেরি হয়।
“পানি জোগাড় করতে সময় লেগেছে। এছাড়া ভবনে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের চতুর্থ তলায় কিছু দোকানের গুদামঘর রয়েছে। আগুন লাগার পর সেখান থেকে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে আসেন।
অগ্নিকাণ্ডের সময় জিইসি মোড় সংলগ্ন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সিডিএ এভিনিউ, জাকির হোসেন রোডসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে বলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হবে। তারাই আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে।