শনিবার দুপুরে নগরীর বায়েজিদ থানার চা বোর্ডের পেছনে বিসিক রোডের ওই কারখানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কারখানাটির বাইরের দরজায় তালা দেওয়া। পেছনে একটি ছোট কুটুরির মতো ছিল। সেখান দিয়ে কারখানার লোকজন আসা-যাওয়া করত।
“তবে ওই কারখানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সেখানে এ-ওয়ান ও টেস্টি ব্র্যান্ডের নকল এক হাজার ছয়টি বোতল পাওয়া গেছে। এছাড়া আড়াই হাজার খালি বোতল পাওয়া গেছে।”
কারখানাটিতে পাম ওয়েলের কয়েকটি ড্রাম এবং দুই মণ রাসায়নিক জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে ওই রাসায়নিকের ড্রামে কোনো নাম উল্লেখ ছিল না।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ঘি তৈরির কাজে ব্যবহার করা দুটি মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তবে মালিক-শ্রমিক কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর চকবাজার এলাকায়ও অভিযান চালায়।
এসময় সড়কের ওপর ড্রাম রেখে সয়াবিন তেল বলে পাম ওয়েল বিক্রি করায় মেসার্স সগির স্টোর নামের একটি দোকানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মূল্য তালিকা না টাঙানোয় অন্য চারটি দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম।