‘সোনার লোভ দেখিয়ে পাহাড়ে নিয়ে বন্ধুকে খুন’

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে কম দামে চোরাই সোনা কেনার লোভ দেখিয়ে পাহাড়ে নিয়ে এক যুবককে তারই বন্ধু খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2016, 03:58 PM
Updated : 30 May 2016, 03:58 PM

খুনের প্রায় আড়াই মাস পর সোমবার বিকালে নিহত মোহাম্মদ ফারুকের কঙ্কাল জঙ্গল ভাটিয়ারি এলাকার সুড়ঙ্গের ঘোনার দক্ষিণে টাউক্ক্যা পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়।

ওই উপজেলার তুলাতলি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে ফারুক সীতাকুণ্ড বাজারে একটি ভাঙ্গারির দোকানের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন।

তাকে হত্যার অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার জামালকে নিয়ে জঙ্গল ভাটিয়ারির পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে ফারুকের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয় বলে সীতাকুণ্ড থানার ওসি ইফতেখার হোসেন জানিয়েছেন।

নিহত ফারুকের বন্ধু সোহেল (৩০) এই হত্যাকাণ্ডে হোতা বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে ওসি জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বর্ণ চোরাকারবারির কাছ থেকে কম দামে সোনা কেনার লোভ দেখিয়ে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

“হত্যাকারীরা ফারুকের কাছে থাকা ছয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। লাশ পাহাড়ি এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়।”

গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে নিখোঁজ হন ফারুক। ২০ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় তার পরিবার এক সাধারণ ডায়েরি করে।

এরপর ফারুকের দোকানের মালিক থানায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করে। ওই মামলায় বলা হয়, ফারুক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে।

সীতাকুণ্ড থানার এসআই ইকবাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সোহেল জানত দোকানে কেনা-বেচার টাকা ফারুকের কাছে থাকে। সেই টাকা হাতিয়ে নিতেই তাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়।”

তিনি বলেন, “সোহেল এক স্বর্ণ চোরাকারবারির কাছ থেকে কম দামে চোরাই সোনা কিনে দেওয়ার কথা বলে ফারুককে প্রলুব্ধ করে। এজন্য ফারুক নিজের কাছে থাকা ৬ লাখ টাকা সঙ্গে নিয়ে রওনা হয়েছিল।”

হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করতে সোহেল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে জামাল উদ্দিনকে ভাড়া করেছিল বলে জানান এসআই ইকবাল।

জামালের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধারের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধামাও উদ্ধার করা হয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

“প্রায় আড়াই মাস হয়ে যাওয়ায় যে দেহাবশেষ মিলেছে, তার বেশিরভাগই হাড়গোড়। ময়নাতদন্তের জন্য তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।”