ভারতের বাজার ধরতে সরকারের সহায়তা চায় পিএইচপি

কাচশিল্পের সম্ভাবনা বিবেচনায় এ শিল্পের বিকাশে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ পিএইচপি। ভারতে কাচের বাজার ধরতেও সহায়তা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2016, 12:39 PM
Updated : 26 May 2016, 12:39 PM

বৃহস্পতিবার সক্ষমতার দ্বিগুণ কাচ উৎপাদন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. আমীর হোসেন এ শিল্পের বিকাশে তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকার কথা জানান।

দেশে কাচের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে জানিয়ে আমীর হোসেন বলেন, “কাচ উৎপাদনে বালু ও গ্যাসের ব্যবহার ৮০ ভাগ, যা আমাদের দেশে সহজলভ্য।

“ফলে ফিনিশড গুড হিসেবে এ শিল্পে ভ্যালু অ্যাড হয় বেশি। অন্যান্য শিল্পে কাঁচামাল বেশি আমদানি করতে হয় বলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়।”

সরকারের সহায়তা পেলে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত রাজ্যগুলোতেও কাচের বাজার দখল করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

তবে এ জন্য কাচ আমদানি নিরুৎসাহিত করে এ শিল্পের জন্য সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন আমীর হোসেন।

তিনি জানান, সীতাকুন্ডে পিএইচপির কারখানায় প্রতিদিন ১৫০ টন কাচ উৎপাদন করা হচ্ছে। এক বছর পর সেটি ৩০০ টনে উন্নীত করা হবে।

জাপানের আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত বিশ্বে ব্যবহৃত ‘লো-ই’ কাচও এই কারখানায় উৎপাদন করা হবে বলে জানান তিনি।

‘লো-ই’ কাচ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তাপ নিরোধক, অতিরিক্ত স্বচ্ছ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।

ফেনীতে ৬০০ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরেকটি কারখানা করার কথাও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পিএইচি পরিবারের পরিচালক মো. আলী হোসেন সোহাগ ও জহিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।