চট্টগ্রামে মহেশখালের বাঁধ: পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে আহত ৪

জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে যাওয়া এলাকার পানি সরাতে একদল লোক চট্টগ্রামের মহেশখালে নির্মিত বাঁধ কাটতে এলে গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে তাদের হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2016, 01:42 PM
Updated : 21 May 2016, 02:08 PM

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহেশখালের বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন অংশে নির্মিত বাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধদের ইটের আঘাতে বন্দর থানার ওসি এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিমসহ চার পুলিশ আহত হয়েছেন।

ওসি সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উজানের বাসিন্দা হাজী ইকবালের নেতৃত্বে একদল লোক বাঁধ কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

“এ সময় বন্দর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেয়। পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।”

বাঁধ কাটতে আসা লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে মোট ৩৪ রাউন্ড কাঁদুনে গ্যাস ও শর্ট গানের গুলি ছোড়া হয় বলে জানান তিনি।

দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু চট্টগ্রাম অতিক্রমের সময় উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়।

এ সময় মহেশখালের ওই বাঁধের উজানের নীমতলা, আদর্শপাড়া, মুন্সীপাড়া ও মাইজপাড়া এলাকায় পানি ঢুকে যায়।

জলোচ্ছ্বাসের এই পানি সরাতে বাঁধ কাটতে আসে ওই এলাকার বাসিন্দারা।

নগরীর মহেশখালের এই বাঁধ কাটতে এসেছিল উজানের বাসিন্দারা।

কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি মহেশখাল দিয়ে ঢুকে নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে জলাবদ্ধতা তৈরি হত। এ সমস্যা নিরসনে গত বছর বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন মহেশখাঁলে ওই বাঁধ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বাঁধের উজানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর এবং ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড দুটির অবস্থান।

বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই ওই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এর প্রতিবাদ করে আসছিলেন।

ওই জায়গায় বাঁধ নির্মাণে একটি অংশ জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচলেও অনেকে প্লাবনের ঝুঁকিতে পড়ায় এর সমালোচনা করেন পরিবেশবাদীরাও।

বিকালে এই সংঘর্ষের পর মহেশখালের বাঁধ এলাকার স্লুইসগেইট খুলে দেওয়া হয়।