মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন নির্মিত মোটেল সৈকতের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, “পাহাড়-নদী-সমুদ্র এ তিনে মিলে চট্টগ্রামের যে অপরূপ সৌন্দর্য, পর্যটক আকর্ষণে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আগামীতে পর্যটন খাত জিডিপিতে পাঁচ শতাংশ অবদান রাখবে।
“প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছেন। আমাদের টার্গেট ২০১৬-২০১৭ এর মধ্যে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক দেশে নিয়ে আসা। সে লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।”
বিদেশি পর্যটক আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলে পর্যটন খাত জিডিপিতে কাঙ্ক্ষিত পাঁচ শতাংশ অবদান রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
পর্যটনের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সুবিধা ও যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে সবকিছু থাকলেও অবকাঠামোগত কিছু ঘাটতি ছিল। মোটেল সৈকত নির্মাণের মধ্য দিয়ে সেটার কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার খুব দ্রুত বেসরকারি ফ্লাইট চালু করা হবে বলেও জানান বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী।
মেনন বলেন, “চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আরও প্রশস্ত করা হবে। ঢাকার বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের টেন্ডারও আহ্বান করা হবে।”
নগরীর স্টেশন রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নিজস্ব শূন্য দশমিক ৯১ একর জায়গায় নির্মিত মোটেল সৈকতের দশতলা ভবনে ১৫৩ টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে।
এর মধ্যে আটটি স্যুট ও ১৪৫ টি ডিলাক্স কক্ষ রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
উদ্বোধনীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম, সাবিহা নাহার বেগম ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।