আগামী দুই বছরে আনা হবে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক: মেনন

আগামী দুই বছরের মধ্যে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক নিয়ে আসার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2016, 02:07 PM
Updated : 3 May 2016, 02:07 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর স্টেশন রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন নির্মিত মোটেল সৈকতের উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান মেনন বলেন, “পাহাড়-নদী-সমুদ্র এ তিনে মিলে চট্টগ্রামের যে অপরূপ সৌন্দর্য, পর্যটক আকর্ষণে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আগামীতে পর্যটন খাত জিডিপিতে পাঁচ শতাংশ অবদান রাখবে।

“প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করেছেন। আমাদের টার্গেট ২০১৬-২০১৭ এর মধ্যে ১০ লাখ বিদেশি পর্যটক দেশে নিয়ে আসা। সে লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।”

বিদেশি পর্যটক আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলে পর্যটন খাত জিডিপিতে কাঙ্ক্ষিত পাঁচ শতাংশ অবদান রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

পর্যটনের ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সুবিধা ও যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে সবকিছু থাকলেও অবকাঠামোগত কিছু ঘাটতি ছিল। মোটেল সৈকত নির্মাণের মধ্য দিয়ে সেটার কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

“ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের কাজ শেষের পথে। তারপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ফোর লেনও পরিকল্পনার মধ্যে আছে। সাথে আছে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ। এসব শেষ হলে পর্যটনে চট্টগ্রামের অফুরান সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাবে।”

এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার খুব দ্রুত বেসরকারি ফ্লাইট চালু করা হবে বলেও জানান বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী।

মেনন বলেন, “চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে আরও প্রশস্ত করা হবে। ঢাকার বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের টেন্ডারও আহ্বান করা হবে।”

জাতীয় আয় ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে জানিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির এই নেতা বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে পর্যটন শিল্পে পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান হবে।

নগরীর স্টেশন রোডে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নিজস্ব শূন্য দশমিক ৯১ একর জায়গায় নির্মিত মোটেল সৈকতের দশতলা ভবনে ১৫৩ টি আবাসিক কক্ষ রয়েছে।

এর মধ্যে আটটি স্যুট ও ১৪৫ টি ডিলাক্স কক্ষ রয়েছে। ২০০৩ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

উদ্বোধনীতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম, সাবিহা নাহার বেগম ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।