জাহাজের সুকানি নিখোঁজের এক মাস পর ‘হত্যাকারী’ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে লাইটারেজ জাহাজের এক সুকানি নিখোঁজের প্রায় একমাস পর তার হত্যাকারী সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2016, 02:19 PM
Updated : 13 Feb 2016, 02:19 PM

পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার আরিফুল ইসলামই (১৯) ওই সুকানির ‘হত্যাকারী’। সুকানি মোহাম্মদ মহসিনের সঙ্গে তার মায়ের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় এই যুবক।

নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে ইপিজেড থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বিষয়টি শনিবার সাংবাদিকদের জানান ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ মহসিন (৫১)। এ ঘটনায় তার ভাই ২২ জানুয়ারি ইপিজেড থানায় একটি নিখোঁজের মামলা করেন। 

ওসি আবুল কালাম বলেন, জাহাজের সুকানি মহসিনের নিখোঁজের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে হত্যাকারী আরিফুলের সন্ধান মেলে।

তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারের পর আরিফ জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছে, তার মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার আক্রোশের জেরেই নগরীর কলসীর দীঘির পাড় এলাকার নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় মহসিনকে হত্যা করে লাশ দশ টুকরো করে।

“আর হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর আরিফ নিজেই বস্তাবন্দি করে লাশের কিছু অংশ কর্ণফুলী নদী এবং নগরীর হালিশহর এলাকায় শারীরিক শিক্ষা কলেজের বিপরীত পাশে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়।”

গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি করাত ও নিহতের দুটি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা কালাম।

১৫ জানুয়ারি সুকানি মহসিনের নিখোঁজের তিনদিন পর ১৮ জানুয়ারি নগরীর হালিশহর থানা পুলিশ শারীরিক শিক্ষা কলেজের বিপরীত পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি একটি লাশের কয়েক টুকরা উদ্ধার করে। খণ্ড-বিখণ্ড লাশটি পরিচয় শনাক্ত করার মতো অবস্থা না থাকায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর আরিফের স্বীকারোক্তি পেয়ে লাশটি নিখোঁজ সুকানি মহসিনের ছিল বলে নিশ্চিত হয় পুলিশ। তবে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া লাশের কোনো অংশ উদ্ধার করা যায়নি বলে জানান ইপিজেড থানার পুলিশ কর্মকর্তা কালাম।

এ ঘটনায় নিহতের ভাইয়ের করা নিখোঁজের মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।