শীতের শেষ রাতের কুয়াশায় বিমান-নৌ চলাচল ব্যাহত

মাঘ মাসের শেষ দিন পেরিয়ে মধ্যরাতে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, যাতে বিঘ্ন ঘটছে বিমান ও নৌ চলাচলে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2016, 07:24 PM
Updated : 13 Feb 2016, 03:45 AM

শুক্রবার গভীর রাতে ঘন কুয়াশার কারণে তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের কথা থাকলেও নামতে পারেনি। বন্ধ হয়ে যায় শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি পারাপারও।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও নেপালের কাঠমান্ডু থেকে আসা তিনটি ফ্লাইট ঢাকায় নামতে না পেরে রাত ১২টার পর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার রিয়াজুল কবির জানান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কুয়ালালামপুর থেকে আসা একটি ফ্লাইট রাত ১২টা ৬ মিনিটে চট্টগ্রামে অবতরণ করে। এরপর রাত ১২টা ১১ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে এবং ১২টা ২৯ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে আসা মালিন্দ এয়ারের দুটি ফ্লাইট নামে।

“ফ্লাইট তিনটির ঢাকায় অবতরণের কথা থাকলেও ঘন কুয়াশার কারণে তা সম্ভব হয়নি।”

পরে রাতেই মালিন্দ এয়ারের একটি এবং রিজেন্টের ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে শাহ আমানতের ট্রাফিক কন্ট্রোল কক্ষ থেকে জানানো হয়।

রিজেন্টের ফ্লাইটটি রাত ১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে এয়ারলাইন্সটির চিফ অপারেটিং অফিসার আশিষ রায় চৌধুরী জানান।

এদিকে রাতে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলছে না পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পথে।

কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে দৌলতদিয়া ঘাটে বিআইডব্লিওটিসির কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি যানবাহন নিয়ে মাঝনদীতে নোঙর করে আছে।

(ফাইল ছবি)

এর আগে রাত পৌনে ১টা থেকে তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর শুরুর দুই ঘণ্টার মধ্যে ফের বন্ধ হয়ে গেছে পারাপার।

হঠাৎ কুয়াশায় চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসায় রাত সোয়া ১১টার দিকে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি রুটে ফেরি পারাপার বন্ধ করা হয় বলে বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ম্যানেজার শেখর চন্দ্র রায় জানান।

রাত সাড়ে ১২টায় তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও ফেরি টাপলু যানবাহন বোঝাই অবস্থায় বসে আছে।

“কুয়াশার চাদর এত ঘন যে আশপাশে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। সিগন্যাল, বয়াবাতি দেখা না যাওয়ায় ফেরি পারাপার বন্ধ করা হয়েছে।”

পাঁচটি ফেরি মাঝ পদ্মায় নোঙর করেছে বলে জানান তিনি।

ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ও কাওড়াকান্দিতে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়েছে বলে জানান তিনি।

[এই প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো, রাজবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি