বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মুসলিম হলে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, পাকিস্তান এখনও পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। তাই তারা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা পাকিস্তানের সহ্য হচ্ছে না।
“তারা তাদের এদেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। তাকে হত্যা করতে চায়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধুলিস্যাৎ করতে চায়। বেগম খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামী মিলে তাই ষড়যন্ত্র করছে।”
ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল ও দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক শাজাহান বলেন, “তোমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখনি। তোমাদের সামনে অন্য এক যুদ্ধ। বাংলাদেশে পাকিস্তানি এজেন্ট খালেদা-জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।”
মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার দলের নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করবে তাদের রেহাই নেই।”
সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারা আজও সক্রিয়। তরুণ প্রজন্মকে সচেতন হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমত কাদির গামা, আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ ও নগর কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা সফর আলী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী, শিক্ষক ইদ্রিস আলী, প্রকৌশলী মো. হারুন, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি মজিবুল হক খান, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও যুব নেতা দিদারুল আলম মাসুম।